[ ১৫ জুলাই, ২০০১ ]
যেহেতু The Co-operative Societies Ordinance, ১৯৮৪ (Ordinance No. I of ১৯৮৫) বাতিলক্রমে কতিপয় সংশোধনীসহ উহা পুনঃপ্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
(১) “অধিদপ্তর” অর্থ ধারা ৫ এর উল্লিখিত সমবায় অধিদপ্তর;
(২) “অবসায়ক” অর্থ সমবায় সমিতির কার্যাবলী অবসায়নের জন্য ধারা ৫৪ এর অধীন নিয়োগকৃত ব্যক্তি;
(৩) “অর্থ সরবরাহকারী সংস্থা” অর্থ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহা উহার সদস্য হউক বা না হউক অন্য কোন সমবায় সমিতিকে ঋণ প্রদানের জন্য গঠিত; এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অর্থ সরবরাহকারী সংস্থা হিসাবে ঘোষিত সংস্থাও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত;
(৪) “আপীল কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৫০(৪) এর অধীন নিযুক্ত আপীল কর্তৃপক্ষ বা ধারা ২২ এর অধীনে ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া বা কোন সদস্যকে বহিষ্কার এর ক্ষেত্রে, উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ;
1[(৪ক) “আমানত সুরক্ষা তহবিল” অর্থ ধারা ২৬খ এর অধীন গঠিত আমানত সুরক্ষা তহবিল;]
2[(৫) “উপ-আইন” অর্থ সমবায় সমিতি গঠনের উদ্দেশ্যে উহার সাংগঠনিক ও আর্থিক কার্যাবলী পরিচালনার জন্য প্রণীত গঠনতন্ত্র এবং উহার সংশোধনী ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;]
3[(৬) “কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” অর্থ ধারা ৮(১) (খ) এর শর্তাংশে উল্লিখিত কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক;]
(৭) “কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি” অর্থ ধারা ৮(১)(খ) তে বর্ণিত কোন সমবায় সমিতি;
4[(৮) “সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” অর্থ ধারা ৮(১)(ক) এর শর্তাংশে উল্লিখিত সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক;]
(৯) “জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন” অর্থ ধারা ৮(১)(ঘ) তে বর্ণিত কোন সমবায় সমিতি;
(১০) “জাতীয় সমবায় সমিতি” অর্থ ধারা ৮(১)(গ) তে বর্ণিত কোন সমবায় সমিতি;
5[(১০ক) “দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় সমিতি” অর্থ ধারা ৮(১)(চ) এ উল্লিখিত দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় সমিতি;]
(১১) “নিবন্ধক” অর্থ 6[এই আইনের ধারা ৬এ উল্লিখিত নিবন্ধক ও মহাপরিচালক]; এবং এই আইন বা বিধির অধীনে নিবন্ধকের কার্যাবলী সম্পাদনের নিমিত্ত নিবন্ধকের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিও অন্তর্ভুক্ত;
(১২) “নিবন্ধন সনদ” অর্থ কোন সমবায় সমিতিকে ধারা ১০ এর অধীনে প্রদত্ত নিবন্ধন সনদ;
(১৩) “নিরীক্ষক” অর্থ কোন সমবায় সমিতির হিসাবপত্র নিরীক্ষার জন্য ধারা ৪৩ এর অধীনে নিযুক্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;
(১৪) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(১৫) “প্রাথমিক সমবায় সমিতি” অর্থ ধারা ৮(১)(ক) তে বর্ণিত কোন সমবায় সমিতি;
(১৬) “ব্যবস্থাপনা কমিটি” অর্থ ধারা ১৮ এর অধীনে গঠিত কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি;
(১৭) “বিক্রয় কর্মকর্তা” অর্থ ধারা ৬৩ এর অধীনে নিযুক্ত বিক্রয় কর্মকর্তা;
7[(১৭ক) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১৭খ) “বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক” এই আইনের অধীন নিবন্ধিত বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক, যাহার মূল উদ্দেশ্য হইবে সমবায় সমিতিসমূহ ও সমবায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানসমূহকে ঋণ প্রদানের জন্য তহবিল গঠন;]
(১৮) “রিসিভার” অর্থ ধারা ৭৩ এর অধীনে নিযুক্ত রিসিভার;
(১৯) “সমবায় বর্ষ” বলিতে কোন ইংরেজী বত্সরের ১লা জুলাই তারিখ হইতে শুরু করিয়া পরবর্তী বত্সরের ৩০শে জুন তারিখ পর্যন্ত সময়কে বুঝাইবে;
(২০) “সমবায় সমিতি” অর্থ এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত বা নিবন্ধিত বলিয়া গণ্য কোন সমবায় সমিতি;
8[(২০ক) “সঞ্চয় আমানত” অর্থ সমবায় সমিতির প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক নিবন্ধনকালীন বা পরবর্তীতে সমিতিতে জমাকৃত অর্থ;
(২০খ) “সদস্য” অর্থ কোন সমবায় সমিতির শেয়ার হোল্ডার সদস্য;
(২০গ) “সদস্যের অধিকার” অর্থে সমিতির কোন বৈধ সভায় অংশগ্রহণ, ভোট প্রদান, নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ঋণ প্রাপ্তি অথবা এই আইন বা বিধির অধীন প্রদত্ত সুযোগকে বুঝাইবে;]
(২১) “সালিসকারী” অর্থ ধারা ৫০(৩) এর অধীনে নিযুক্ত সালিসকারী৷
9[(২২) “শেয়ারের বাজার মূল্য” অর্থ শেয়ারের নির্ধারিত মূল্য অথবা, ক্ষেত্রমত, শেয়ারের পুনঃনির্ধারিত মূল্য।]
(ক) কোন নির্দিষ্ট সমবায় সমিতিকে বা উহাদের কোন শ্রেণীকে এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত বিধির সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত কোন শর্ত সাপেক্ষে বা নিঃশর্তভাবে অব্যাহতি দিতে পারিবে;
(খ) নির্দেশ দিতে পারিবে যে, এই আইন বা তদ্ধীন প্রণীত কোন বিধির কোন নির্দিষ্ট বিধান প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে৷
দ্বিতীয় অধ্যায়
সমবায় অধিদপ্তর
(২) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থাকিবে ঢাকায়৷
(৩) সরকার প্রয়োজন মনে করিলে দেশের যে কোন স্থানে অধিদপ্তরের শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
(২) নিবন্ধককে তাঁহার দায়িত্ব সম্পাদনে সহায়তা করার জন্য অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী থাকিবে৷
(৩) নিবন্ধকসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকুরীর শর্তাবলী সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
তৃতীয় অধ্যায়
নিবন্ধন
(ক) প্রাথমিক সমবায় সমিতি, অর্থাত্ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য সংখ্যা হইতেছে ন্যুনতম ২০ (কুড়ি) জন একক ব্যক্তি (Individual) এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে বৈধ উপায়ে সমিতির সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন:
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ সমিতি উহার সদস্যদের জমি বন্ধক নিয়া ঋণ প্রদানের জন্য গঠিত হইলে উহা 14[সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক] নামেও অভিহিত হইবে;
(খ) কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি, অর্থাত্ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য হইতেছে একইরূপ অন্ততঃ ১০ (দশ) িট প্রাথমিক সমবায় সমিতি এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে উক্ত সদস্য সমিতিগুলির কাজ-কর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদান এবং সমন্বয় সাধন:
15[তবে শর্ত থাকে যে, সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক নামক প্রাথমিক সমবায় সমিতি সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক নামে অভিহিত হইবে;]
(গ) জাতীয় সমবায় সমিতি, অর্থাত্ এমন একটি সমবায় সমিতি যাহার সদস্য হইতেছে একই উদ্দেশ্য সম্বলিত অন্ততঃ ১০(দশ) িট কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি, এবং যাহার উদ্দেশ্য হইতেছে সারা দেশব্যাপী উক্ত সদস্য সমিতিগুলির কাজ-কর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহায়তা প্রদান এবং সমন্বয় সাধন;
ব্যাখ্যা৷- সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একই উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় সমবায় সমিতি নিবন্ধন করা যাইবে;
16[(ঘ) জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন অর্থাৎ এমন একটি সমবায় সমিতি, যাহার সদস্য হইবে ইউনিয়ন, জেলা, বিভাগ ও দেশব্যাপী কর্ম এলাকা বিশিষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতি, কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি ও জাতীয় সমবায় সমিতি;
(ঙ) দফা (ঘ) এর অধীন গঠিত জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন উহার সদস্য সমিতির সহায়ক হিসাবে কাজ করিবে এবং উহার কার্যাবলি ও ব্যবস্থাপনা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে;
(চ) দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় সমিতি অর্থাৎ গ্রাম পর্যায়ে নির্ধারিত গঠিত কমপক্ষে ১০ (দশ) টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির সমন্বয়ে উপজেলা বা থানা পর্যায়ে গঠিত উপজেলা বা থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বুঝাইবে।]
(২) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে নিবন্ধিত কোন সমবায় সমিতির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (খ), (গ) বা (ঘ) এর ব্যত্যয় ঘটিয়া থাকিলে উক্ত সমিতির নিবন্ধন এই ধারা বলে ক্ষুণ্ন হইবে না, তবে এই আইন প্রবর্তনের পর উক্ত উপ-ধারার বিধান ক্ষুণ্ন করিয়া কোন সমবায় সমিতিতে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে না৷
(২) সমিতির নিবন্ধিত নাম ব্যতীত সমিতির সাইন বোর্ড, বিল বোর্ড বা প্রচারপত্রে অন্য কোন নাম বা শব্দ ব্যবহার করা যাইবে না।
(৩) নিবন্ধিত বা নিবন্ধনের জন্য প্রস্তাবিত কোন সমবায় সমিতির নামের সাথে কমার্স, ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট, কমার্শিয়াল ব্যাংক, লীজিং, ফাইনান্সিং বা সমার্থক শব্দ ব্যবহার করা যাইবে না এবং কোন সমবায় সমিতি এইরূপ শব্দযুক্ত নামে ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে এই বিধান কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহার নাম সংশোধন করিয়া নিবন্ধককে অবহিত করিতে হইবে।
(৪) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত আবেদন সম্পর্কে নিবন্ধক যদি সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারী সমিতি এই আইন ও বিধি অনুযায়ী নিবন্ধনযোগ্য একটি সমবায় সমিতি, তাহা হইলে তিনি আবেদনটি প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহা মঞ্জুর করতঃ নিবন্ধন সনদ ইস্যু করিবেন অথবা নামঞ্জুরের কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত সিদ্ধান্ত 18[৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেন।]
19[***]
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে নিবন্ধক কোন আবেদন প্রাপ্তির পর অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারীর নিকট প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র চাহিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনবোধে স্থানীয় তদন্ত করিতে পারিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন আবেদন নামঞ্জুর করা হইলে আবেদনকারী নামঞ্জুর হওয়া সংক্রান্ত লিখিত স্মারক জারী করার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন, এবং নামঞ্জুরের সিদ্ধান্তটি নিবন্ধক স্বয়ং প্রদান করিয়া থাকিলে উক্ত সময়সীমার মধ্যে তাহার নিকট আবেদনটি পুনঃবিবেচনার জন্য পেশ করিতে হইবে৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে পেশকৃত আপীল বা পুনঃবিবেচনার আবেদন ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিয়া সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত আবেদনকারী এবং নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
(২) ধারা ১০ এর অধীনে নিবন্ধনের আবেদন মঞ্জুর করা হইলে নিবন্ধক সমবায় সমিতির বরাবরে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করার সময় দাখিলকৃত বা, ক্ষেত্রমত, সংশোধিত উপ-আইনের তিনটি কপির প্রতি পৃষ্ঠা তাহার স্বাক্ষর ও সীল যুক্ত করিয়া দুইটি কপি আবেদনকারীকে ফেরত দিবেন এবং একটি তাহার কার্যালয়ে সংরক্ষণ করিবেন৷
(৩) কোন শ্রেণীর সমবায় সমিতির নিবন্ধনের ব্যাপারে সরকার প্রয়োজন মনে করিলে বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী আরোপ করিতে পারিবে৷
20[তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময় সীমার মধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধন বা পুনঃপ্রণীত উপ-আইন অনুমোদন করা না হইলে উহার কারণ উল্লেখ করিয়া ৬০ (ষাট) কার্য দিবসের মধ্যে নিবন্ধক আবেদনকারী সমিতিকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেন।]
21[(১ক) যদি কোন সমবায় সমিতির উপ-আইন বা উহার অংশ বিশেষ এই আইনের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ হয় বা অর্থ সরবরাহকারী সংস্থা উহার সদস্য সমিতিকে উহার উপ-আইন সংশোধনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতি ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-আইন সংশোধন করিতে বাধ্য থাকিবে এবং এই ক্ষেত্রে উপ-আইন সংশোধনের জন্য সাধারণ সভার অনুমোদনের প্রয়োজন হইবে না।
(১খ) উপ-ধারা (১ক) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতি উহার উপ-আইন সংশোধনে ব্যর্থ হইলে, নিবন্ধক উক্ত সময়সীমা অতিবাহিত হইবার পর উক্ত সমিতির উপ-আইন সংশোধন করিয়া সমিতিকে অবহিত করিবেন।]
(২) প্রত্যেক সমবায় সমিতি উহার উপ-আইন, হালনাগাদ সংশোধনীসহ, যদি থাকে, মুদ্রণ করিয়া সকল সদস্যের নিকট, সমিতি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে, বিতরণের ব্যবস্থা করিবে৷
চতুর্থ অধ্যায়
সমবায় সমিতির আইনগত মযার্দা, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি
(২) নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সাধারণ সীলমোহর কাহার তত্ত্বাবধানে থাকিবে, কোন্ কোন্ দলিলে ও কোন্ কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে সীলমোহর দ্বারা সীল দিতে হইবে তাহা উপ-আইন দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
22[(২) কোন সমবায় সমিতির নিবন্ধনকালে উহার প্রত্যেক সদস্যকে অন্ততঃ একটি শেয়ার অভিহিত মূল্যে (face value) ক্রয় করিতে হইবে এবং পরবর্তী সময়ে নতুন সদস্যপদ লাভের জন্য বা কোন সদস্য কর্তৃক অতিরিক্ত শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক অথবা, ক্ষেত্রমত, নিবন্ধক কর্তৃক নির্ধারিত শেয়ারের বাজার মূল্য (market value) সমিতিকে প্রদান করিতে হইবে, যাহা সমিতির নিজস্ব মূলধন হিসেবে পরিগণিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার ব্যতীত, কোন সদস্য বা, ক্ষেত্রমত, সমিতি কোন সমবায় সমিতির মোট শেয়ার মূলধনের এক পঞ্চমাংশের অধিক শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে না।]
(৩) কোন সমবায় সমিতির শেয়ার সমিতির নিকট ফেরত্যোগ্য হইবে না বা সমিতি উক্ত শেয়ার ক্রয় বা উহার পরিবর্তে অর্থ বা অন্য কোন সম্পদ উক্ত সদস্যকে পরিশোধ করিতে পারিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমবায় সমিতির সদস্য পদ যদি উহার উপ-আইন অনুসারে কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কোন শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেতনভোগী কর্মচারী বা শ্রমিকদের মধ্যে সীমিত রাখা বাধ্যতামূলক হয়, তাহা হইলে উক্ত সদস্যগণের ধারণকৃত শেয়ারের ক্ষেত্রে এই উপ-ধারায় বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হইবে না৷
(৪) কোন সদস্য তাহার শেয়ার সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির পূর্বসম্মতিক্রমে উপ-আইন অনুসারে হস্তান্তর করিতে পারিবে৷
(৫) সমবায় সমিতির অবসায়নের সময় উহার দায়-দায়িত্ব পরিশোধের ক্ষেত্রে সমিতির পরিসম্পদে ঘাটতি থাকিলে উহা পরিশোধের জন্য সদস্যগণ তাহাদের নিজ নিজ শেয়ারের অনুপাতে দায়ী থাকিবেন৷
(২) সাধারণ সভা আহ্বান এবং ইহার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই আইন, বিধি ও উপ-আইন অনুসরণ করিতে হইবে৷
(২) ব্যবস্থাপনা কমিটি সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা বত্সরে একবার অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে; এবং অন্য যে কোন সাধারণ সভা বিশেষ সাধারণ সভা নামে অভিহিত হইবে; উভয় প্রকারের সাধারণ সভা এই আইন ও বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হইবে, তবে সমিতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুসারে উপ-আইনেও এই ব্যাপারে অতিরিক্ত বিধান থাকিতে পারে৷
23[(৩) প্রত্যেক সমবায় সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা উহার নিরীক্ষা কাজ সম্পন্ন হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে নিবন্ধক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্তরূপ সময়ের মধ্যে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হইবার যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে নিবন্ধক উক্ত সময়সীমা সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) দিন বৃদ্ধি করিতে পারিবেন।]
(৪) সাধারণ সভার কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ:-
(ক) বিগত বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বিশেষ সাধারণ সভার কার্য বিবরণী অনুমোদন;
(খ) ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যক্রমের উপর বাত্সরিক রিপোর্ট পর্যালোচনা;
(গ) বার্ষিক হিসাব বিবরণী বিবেচনা ও অনুমোদন;
(ঘ) উদ্বৃত্তপত্র ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা:
তবে শর্ত থাকে যে, নিরীক্ষিত উদ্বৃত্তপত্রের এক কপি সাধারণ সভার নোটিশের সাথে প্রত্যেক সদস্যের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে;
(ঙ) পরবর্তী আর্থিক বত্সরের জন্য প্রাক্কলিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন;
(চ) ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ;
(ছ) সমবায় সমিতির কোন সদস্য বা কর্মচারী কর্তৃক কোন অভিযোগ বা সদস্যপদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ত্রিশ দিন পূর্বে কোন নোটিশ সমিতিতে দাখিল করা হইলে উক্ত বিষয়ে শুনানী, পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ;
(জ) সমবায় সমিতির কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, তাহাদের বেতন নির্ধারণ ও সার্ভিস রুল অনুমোদন;
(ঝ) সমিতির নিরীক্ষা প্রতিবেদন বা তদন্ত রিপোর্টে উল্লিখিত বিষয়ে নিবন্ধকের বরাবরে প্রেরণের জন্য পরিপালন পত্র অনুমোদন;
(ঞ) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠান বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল বা বিশেষ কোন সদস্যের বহিষ্কার বা সমিতির অন্য কোন সদস্যকে বহিষ্কার;
(ট) উপ-আইন সংশোধন বা পুনঃপ্রণয়ন৷
(৫) যে সকল সমবায় সমিতির সদস্য সংখ্যা একশত বা ইহার কম, সেই সকল সমবায় সমিতির সাধারণ সভার কোরাম হইবে মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ; এবং সদস্য সংখ্যা একশত এর অধিক কিন্তু এক হাজারের কম হইলে কোরামের জন্য সদস্য সংখ্যা হইবে মোট সদস্য সংখ্যার এক চতুর্থাংশ; এবং এক হাজার বা তাহার অধিক সদস্য বিশিষ্ট সমিতির সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতি৷
(৬) আইন ও বিধি মোতাবেক যথাসময়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হইলে তজ্জন্য দায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্য বা সদস্যগণ উক্ত সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির পরবর্তী নির্বাচনে সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে তিন বত্সরের জন্য 24[অযোগ্য হইবেন] ।
(৭) ধারাবাহিকভাবে পর পর তিন বত্সর যদি কোন সমবায় সমিতির সাধারণ সভায় কোরাম না হয়, তবে ঐ সমিতি অবসায়নের যোগ্য বলিয়া নিবন্ধক আদেশ দিতে এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে পর পর দুই বত্সর কোরাম অর্জনে ব্যর্থ সমিতিকে নিবন্ধক এই বিষয়ে সতর্ক করিয়া দিবেন৷
(৮) কোন সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিতে হইবে, যদি-
(ক) এই আইনের বিধান অনুসারে উক্ত সভা আহ্বানের প্রয়োজন হয়;
(খ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কোন বিশেষ কারণে উক্ত সভা আহ্বান প্রয়োজনীয় বলিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে;
(গ) অনধিক পাঁচশত সদস্য বিশিষ্ট সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশ সদস্য লিখিতভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট আবেদন করেন;
(ঘ) এইরূপ সভা আহ্বানের জন্য নিবন্ধকের নির্দেশ থাকে৷
(৯) নিবন্ধক বা তত্কর্তৃক লিখিত নির্দেশবলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কোন সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিতে পারিবেন যদি ঐ সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি নিবন্ধকের নির্দেশে বা সদস্যদের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সাধারণ সভা আহ্বান করিতে ব্যর্থ হয়৷
(১০) সাধারণ সভা বা বিশেষ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থাপনা কমিটির যে কোন বা সকল নির্বাচিত সদস্যকে বহিষ্কার করা যাইবে যদি এতদুদ্দেশ্যে উক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়; তবে এইরূপ সিদ্ধান্ত অবশ্যই সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে৷
(১১) যে সাধারণ সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য বহিষ্কৃত হন সেই সভাতেই অপর একজন সদস্যকে তদ্স্থলে নির্বাচন করিতে হইবে এবং তিনি বা তাঁহারা উক্ত কমিটির অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন৷
(১২) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত যে কোন বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে৷
(২) উপ-আইনে নির্ধারিত সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে, এবং তাঁহারা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ সভায় নির্বাচিত হইবেন:
তবে শর্ত থাকে যে,
(ক) নিবন্ধনের সময় নিবন্ধক তত্কর্তৃক অনুমোদিত উপ-আইন অনুসারে প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করিবেন;
(খ) যেই সকল সমবায় সমিতির পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের ৫০% এর অধিক সরকারের মালিকানায় আছে বা যেই সকল সমবায় সমিতির মোট ঋণের বা অগ্রিমের ৫০% এর অধিক সরকার প্রদান করিয়াছে বা উক্ত সমিতির গৃহীত ঋণের ব্যাপারে সরকারের গ্যারান্টি রহিয়াছে, সেই সকল ক্ষেত্রে 25[নিবন্ধক প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির এবং সরকার জাতীয় সমবায় সমিতির] 26[ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রদান করিবেন]
27[(৩) কোন সমবায় সমিতি নিবন্ধনকালে নিবন্ধক কর্তৃক অনুমোদিত প্রথম ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ হইবে ২(দুই) বৎসর এবং এই মেয়াদের মধ্যে অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করিয়া নিয়মিত কমিটি গঠন করিবে।]
28[(৪) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি উহার প্রথম অনুষ্ঠিত সভার তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করিবে এবং উক্ত কমিটি উহার মেয়াদ পূর্তির পূর্বে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করিবে৷
(৫) উপ-ধারা (৩) ও (৪) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমিতির সদস্য বা সরকারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে 29[১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
(৬) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করিয়া উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্বভার হস্তান্তর করিবে৷
(৭) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ধারা (৬) এ বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হইবে এবং নিবন্ধক উপ-ধারা (৫) ও (৬) এ উল্লিখিত শর্ত ও সময়ের জন্য পুনরায় একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিলুপ্তকৃত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ পরবর্তী কোন অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না৷
(৮) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসাবে একাদিক্রমে 30[তিনটি] মেয়াদ পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোন সদস্য উক্ত মেয়াদের অব্যবহিত পরবর্তী একটি মেয়াদের নির্বাচনে প্রার্থী হইবার যোগ্য হইবেন না৷]
(ক) ২১ বত্সর বয়স্ক না হন;
31[* * *]
(গ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ পর্যন্ত অব্যাহতভাবে অন্তত ১২ মাস ব্যাপী সমিতির সদস্য হিসাবে বহাল না থাকেন;
(ঘ) কোন ফৌজদারী অপরাধের কারণে দোষী সাব্যস্ত হইয়া দুই বত্সর বা ততোধিক মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া থাকেন এবং কারাভোগের পর পাঁচ বত্সর সময় অতিবাহিত না হয়;
(ঙ) কোন সমবায় সমিতি বা কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ, অগ্রিম, গৃহীত পণ্যের মূল্য বা অন্য যে কোন পাওনা বা পাওনার কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন;
(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটির বা কোন সদস্যের অধীনে বা সমিতির অধীনে বেতনভোগী কর্মচারী হন বা সমিতির আওতাধীন কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত হন:
তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র শ্রমিক বা কারিগর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি শুধুমাত্র ড্রাইভার, হেলপার বা কন্ডাক্টর সমন্বয়ে গঠিত সমবায় সমিতি বা কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী সমন্বয়ে গঠিত কর্মচারী সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই দফা প্রযোজ্য হইবে না;
(ছ) সমিতির কোন কাজের জন্য ঠিকাদার হন বা লাভজনকভাবে সমিতিকে কোন সামগ্রী সরবরাহ করেন;
(জ) যথোপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হন৷
(২) কোন ব্যক্তি কোন কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইবার বা উক্ত পদে বহাল থাকিবার অযোগ্য হইবেন, যদি-
(ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত পরিস্থিতি তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়;
32[(খ) তিনি উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ববর্তী ৩ (তিন) বৎসর যাবৎ অব্যাহতভাবে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্য না থাকেন এবং উক্ত ৩ (তিন) বৎসরে অনুষ্ঠিত সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমিতির অন্যূন দু’টি বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত না থাকেন;]
(গ) তিনি সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক সমবায় সমিতি বা, ক্ষেত্রমত, কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমবায় সমিতির পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে উক্ত সমিতি কর্তৃক খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হন; অথবা,
(ঘ) তিনি যে সমিতির প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেই সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক লিখিতভাবে ক্ষমতা প্রাপ্ত না হন33[; অথবা
(ঙ) ঋণ খেলাপী, সমবায় উন্নয়ন তহবিল (সিডিএফ), অডিট সেস বা অন্য কোন সরকারি পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হন।]
(৩) কোন সমিতিতে সরকারের শেয়ার থাকিলে এবং উহার ব্যবস্থাপনা কমিটিতে সদস্য হিসাবে সরকার কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে তাহার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
(২) কোন সমবায় সমিতির নির্বাচনে কোরাম সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত না হইলে বিদ্যমান কমিটি সম্ভব হইলে উহার মেয়াদের মধ্যে বা, ক্ষেত্রমত, নিবন্ধক কর্তৃক গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি উক্ত নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির শূন্য পদসমূহে নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে শূন্য পদে নির্বাচন করা না হইলে বা নির্বাচনের মাধ্যমে কোরাম সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত না হইলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল হইবে এবং এইক্ষেত্রে সমিতির কার্যক্রম নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (৫) অনুযায়ী অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হইবে।]
(২) কোন সমবায় সমিতির আবেদনক্রমে নিবন্ধক, তদ্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে সমিতির কার্যাবলী নির্বাহের জন্য প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবেন।]
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার থাকিলে বা উক্ত সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকিলে বা সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে নিবন্ধক বিশেষ সভা আহ্বানের পরিবর্তে উক্ত সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়ী সদস্যগণকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়া তাহাদেরকে কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবস্থাপনা কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান না করিলে নিবন্ধক কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া দোষী সদস্য বা সদস্যগণকে বহিষ্কার করিতে বা প্রয়োজনবোধে সম্পূর্ণ কমিটিকে ভাংগিয়া দিতে পারিবেন৷
(৩) যে সমিতিতে সরকারের এক তৃতীয়াংশ শেয়ার আছে বা যে সমিতি সরকারের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়াছে বা যে সমিতি কর্তৃক গৃহীত ঋণ পরিশোধের গ্যারাণ্টি সরকার প্রদান করিয়াছে, সেই সমিতির বিষয়াবলী সরকার যে কোন সময় তদন্ত করিতে পারিবে এবং এইরূপ তদন্তে যদি দেখা যায় যে, সমিতির কাজ কর্ম এই আইন, বিধি বা উপ-আইন লংঘন করিয়া পরিচালিত হইয়াছে বা হইতেছে এবং উক্ত লংঘন সরকার প্রদত্ত ঋণ বা গ্যারান্টি বা সাধারণ সদস্যদের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর তাহা হইলে সরকার কারণ দর্শানোর যুক্তি সংগত সুযোগ দিয়া সরকারের বিবেচনায় উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী সদস্য বা সদস্যগণকে ব্যবস্থাপনা কমিটি হইতে বহিষ্কার করিতে বা সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিতে পারিবে৷
(৪) এই ধারার অধীনে আহ্ববানকৃত বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বা উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশ অনুযায়ী উপ-ধারা (২) বা (৩) অনুসারে ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করা হইলে বা উক্ত কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে বহিষ্কৃত সদস্য বা ভাংগিয়া দেওয়া কমিটির সকল 37[ সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন৷]৷
(৫) এই ধারার অধীনে নিবন্ধক ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্যকে বহিষ্কার করিলে বা ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দিলে উক্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী নিবন্ধকের পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে আপীল করিতে পারিবে এবং এইরূপ সিদ্ধান্ত 38[সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে] সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারিবে৷
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে পেশকৃত আপীল বা পুনঃবিবেচনা আবেদনের উপরে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং তদ্সম্পর্কে 39[ধারা ৫২] এর অধীনে জেলা জজের নিকট বা অন্য কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
(৭) এই ধারার অধীনে কোন সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি ভাংগিয়া দেওয়া হইলে নিবন্ধক সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহের জন্য ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য 40[ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়োগ করিবেন৷
41[(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত কমিটির নিকট অবিলম্বে দায়িত্ব হস্তান্তর করিবে। ]
(৯) অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি উপ-ধারা (৮) অনুসারে যথাসময়ে কার্যক্রম গ্রহণে ব্যর্থ হইলে নিবন্ধক উক্ত কমিটি বিলুপ্ত করিয়া নতুন 42[১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য] অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবেন৷
(২) এই আইনের অধীন নিবন্ধিত সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রিয় সমবায় ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ব্যতীত কোন প্রাথমিক সমবায় সমিতি, কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতি উহার নামের সহিত ব্যাংক শব্দ ব্যবহার করিতে পারিবে না, তবে কোন সমবায় সমিতি এইরূপ শব্দযুক্ত নামে নিবন্ধিত হইয়া থাকিলে এই বিধান কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে উহার নাম সংশোধন করিয়া নিবন্ধককে অবহিত করিতে হইবে।
(৩) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।
(২) কোন ব্যক্তি এই ধারার কোন বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।]
(ক) সদস্য রেজিষ্টার;
(খ) শেয়ার রেজিষ্টার;
(গ) ডিপোজিট রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
(ঘ) লোন রেজিষ্টার, যদি প্রযোজ্য হয়;
(ঙ) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত রেজিষ্টার;
(চ) ক্যাশ বহি/রেজিষ্টার;
(ছ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত বা নিবন্ধক কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য বহি ও রেজিষ্টার৷
(২) 46[***] কোন সমবায় সমিতি কর্তৃক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
(ক) উহার সদস্য নহে এমন কোন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদান করা যাইবেনা;
(খ) উহার সদস্যগণকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে উপ-আইনে ও বিধিতে বর্ণিত সীমা এবং পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
47[***]
(৪) এই ধারায় যাহা কিছু্ই থাকুক না কেন,-
(ক) ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সদস্য হিসাবে যেই ঋণ পাইবার অধিকারী উহার অতিরিক্ত কোন ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবেন না;
(খ) ধারা ১৯ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন সরকার কর্তৃক মনোনীত ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য ঋণ পাইবার যোগ্য হইবেন না৷
(ক) কোন সমবায় সমিতির শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবে; এবং
(খ) কোন সমবায় সমিতিকে আর্থিক সহায়তা বা ঋণ প্রদান করিতে পারিবে৷]
(২) আমানত সুরক্ষা তহবিলের অর্থ নিবন্ধক ও সংশ্লিষ্ট সমিতির যৌথ স্বাক্ষরে উত্তোলন করা যাইবে।]
পঞ্চম অধ্যায়
সমবায় সমিতিসমূহের বিশেষাধিকার
(ক) কোন সদস্য বা সাবেক সদস্য বা বহিস্কৃত সদস্যের নিকট সমিতির কোন পাওনা থাকিলে উহা আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবদ্দশায় তাহার বিরুদ্ধে বা তাহার মৃত্যুর পর তাহার মনোনীত ব্যক্তি বা উত্তরাধিকারের বিরুদ্ধে যে কোন সময় মামলা রুজু করা যাইবে; এবং
(খ) সংশ্লিষ্ট সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি বা তাহার উত্তরাধিকার না থাকিলে তাহার মৃত্যুর তারিখ হইতে বা বহিস্কার আদেশের তারিখ হইতে উক্ত Act এ বর্ণিত তামাদি মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।]
(২) উক্ত ফি বা পাওনা আদায় বা রায় কার্যকর করার জন্য দেওয়ানী আদালতে ১০০ (একশত) টাকার কোর্ট ফি দিয়া মামলা দায়ের করা যাইবে৷
ষষ্ঠ অধ্যায়
সমবায় সমিতিসমূহের সম্পত্তি এবং তহবিলসমূহ
(ক) কোন তফসিলী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে 51[বা নির্ধারিত অন্য কোন সমবায় ব্যাংকে] আমানত হিসাবে, বা সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত সঞ্চয় পত্র বা অন্য কোন সিকিউরিটি আকারে;
(খ) সমিতির কাজ-কর্ম পরিচালনা বা ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় নহে এরূপ উদ্বৃত্ত থাকিলে 52[, সাধারণ সভার অনুমাদনক্রমে,] উহার অনধিক ১০% অর্থ কোন কোম্পানীর শেয়ার, ডিবেঞ্চার বা অন্য কোন সিকিউরিটিতে;
(গ) উক্ত সমিতি অন্য কোন সমবায় সমিতির সদস্য হইলে এবং দ্বিতীয়োক্ত সমিতির আমানত গ্রহণের ক্ষমতা থাকিলে, উহার নিকট আমানত আকারে৷
(ক) সংরক্ষিত তহবিল, ন্যুনতম ১৫%;
(খ) অর্থায়নকারী সমবায় সমিতি বা 55[সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক] ক্ষেত্রে, তত্কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ সংক্রান্ত দায়-দায়িত্ব মিটানো বা ব্যয় নির্বাহের জন্য কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ তহবিল বাবদ ১০%;
56[(গ) সমবায় উন্নয়ন তহবিলের চাঁদা ৩%:
তবে এই ৩% এর মধ্যে 57[২%] সমবায় সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সমবায় প্রশিক্ষণ একাডেমীসমূহের জন্য নির্দিষ্ট থাকিবে;]
(ঘ) উপ-আইনে উল্লেখিত অন্যান্য উদ্দেশ্যে সর্বাধিক ১০%;
(ঙ) অবশিষ্ট মুনাফা 58[***] লভ্যাংশ আকারে সদস্যদের মাঝে বণ্টন৷
(২) সংরক্ষিত তহবিলের সর্বাধিক ৫০% সমিতির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
(৩) সংরক্ষিত তহবিল এবং কুঋণ বা সন্দিগ্ধ ঋণ তহবিল নিম্নবর্ণিতভাবে বিনিয়োগ বা জমা রাখিতে হইবে:-
(ক) সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত সঞ্চয় পত্র বা অনুরূপ কোন সিকিউরিটিতে;
(খ) যে কোন তফসিলী ব্যাংকে 59[বা নির্ধারিত অন্য কোন ব্যাংকে] আমানত হিসাবে৷
(৪) উপ-ধারা (১)(ঙ) তে উল্লেখিত মুনাফা বণ্টনের পূর্বে উক্ত মুনাফার ৫০% পূর্বের ক্ষতি (যদি থাকে) বাবদ সমন্বয় করিতে হইবে৷
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমিতিকে সরকারী ঋণ, বিনিয়োগ, অগ্রিম অথবা অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হইলে বা সরকারী গ্যারান্টি থাকিলে ঐ সকল সমিতি কর্তৃক উল্লিখিত বিক্রয়, বিনিময় বা ইজারা প্রদানের ক্ষেত্রে নিবন্ধকের লিখিত পূর্ব অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত শর্ত ভঙ্গ করিয়া কোন সমবায় সমিতির সম্পদ হস্তান্তর করা হইলে দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ন্যুনতম ৬ (ছয়) মাস, তবে অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
সপ্তম অধ্যায়
সমবায় সমিতির সদস্যগণের বিশেষ সুবিধা ও দায়-দায়িত্ব
(২) ভোটে সমতা দেখা দিলে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
(৩) প্রাথমিক সমবায় সমিতি ব্যতীত অন্যান্য সমবায় সমিতির ক্ষেত্রে, একটি সদস্য সমিতি উহার বৈধ কোন সদস্যকে সদস্য-সমিতির প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে উহার প্রতিনিধি হিসাবে ভোটদানের জন্য মনোনয়ন দিতে পারিবে৷
(৪) সদস্য সমিতির কোন ব্যক্তি ঊর্ধ্বতন সমিতির পক্ষে বা কর্মকাণ্ডে প্রতিনিধিত্ব করিবেন বা কিভাবে ভোট দিবেন সেই সম্পর্কে উপ-আইনে বিস্তারিত বিধান থাকিবে৷
(ক) যেই সমবায় সমিতির উদ্দেশ্য হইতেছে পতিত জমি পুনরুদ্ধার ও স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থাকরণ, অথবা জমি অর্জন করিয়া উহার সদস্যদের নিকট ইজারা দান করা, সেই সমিতির কোন সদস্য সমিতির নিকট হইতে ইজারা গৃহীত কোন জমির দখল বা স্বার্থ উহার উপ-আইন অনুসারে সমিতির পূর্বানুমতি গ্রহণ ব্যতীত কাহারও নিকট হস্তান্তর করিতে পারিবেন না, এবং এই ধারার খেলাফ করিয়া হস্তান্তর করা হইলে উক্ত হস্তান্তর ফলবিহীন (Void) হইবে;
(খ) দফা (ক) তে উল্লিখিত সদস্যের সদস্যপদের অবসান হইলে এবং তাঁহার মনোনীত ব্যক্তি সমিতির সদস্য হইতে ইচ্ছুক বা যোগ্য না হইলে, উক্ত ইজারা প্রদত্ত জমি সমিতি ফেরত পাইবে, তবে উক্ত মনোনীত ব্যক্তি ইজারা বাবদ উক্ত সদস্য কর্তৃক পরিশোধিত মূল্য বা উহার বাজার মূল্য, যাহা বেশী হয়, ফেরত পাইবেন;
তবে শর্ত থাকে যে,
65[(অ) বাজার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রচলিত বিধান মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং উহা নিবন্ধককে অবহিত করিবে, ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক বাজার মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন প্রশ্ন উপস্থাপিত হইলে নিবন্ধক কর্তৃক উহা নিষ্পত্তি হইবে এবং নিবন্ধকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হইবে।]
(আ) সমিতির নিকট উক্ত সদস্যের কোন দেনা থাকিলে তাহা উক্ত বাজার মূল্য হইতে আদায়যোগ্য হইবে৷
অষ্টম অধ্যায়
নিরীক্ষা, পরিদশর্ন এবং তদন্ত
(২) সমবায় সমিতি উহার হিসাবপত্র নিরীক্ষার জন্য বিধি মোতাবেক ফি প্রদান করিবে৷
(ক) নগদ তহবিল ও নিরাপত্তা জামানত পরীক্ষা;
(খ) আমানতকারী এবং পাওনাদারদের পাওনার স্থিতি এবং খাতকদের নিকট সমিতির পাওনার পরিমাণ পরীক্ষা;
(গ) মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ, যদি থাকে, পরীক্ষা;
(ঘ) সমিতির সম্পদ ও দেনার মূল্যায়ন;
(ঙ) আর্থিক লেনদেনসহ সমিতির লেনদেনসমূহ বিধি মোতাবেক নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত পরীক্ষা;
(চ) ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে প্রস্তুতকৃত হিসাব বিবরণী পরীক্ষা;
(ছ) আদায়কৃত লাভের প্রত্যয়ন;
(জ) হালনাগাদ সদস্য তালিকা পরীক্ষা;
(ঝ) বিধিদ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য বিষয়সমূহ৷
(ক) এমন লেনদেন যাহা আইন, বিধিমালা বা উপ-আইনের পরিপন্থি বলিয়া তাহার নিকট প্রতীয়মান হয়;
(খ) এমন লেনদেন যাহা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত্ ছিল কিন্তু করা হয় নাই;
(গ) কোন ঘাটতি অথবা লোকসান যাহা অবহেলা কিংবা অসদাচরণের ফলশ্রুতিতে ঘটিয়াছে বলিয়া প্রতীয়মান হয় অথবা যাহার অধিক তদন্ত দরকার;
(ঘ) সমিতির মালিকানাধীন কোন অর্থ অথবা সম্পত্তি যাহা কোন ব্যক্তি কর্তৃক আত্মসাত্ করা হইয়াছে বা বেআইনী বা প্রতারণামূলকভাবে অধিকারে রাখা হইয়াছে;
(ঙ) সন্দেহজনক বা কুসম্পদ হিসাবে প্রতীয়মান হয় এমন সম্পদ;
(চ) নির্ধারিত অন্য কোন বিষয়৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লিখিত দোষত্রুটি ও অনিয়মসমূহ সংশোধন না করিলে নিবন্ধক ধারা ২২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।]
(২) নিবন্ধক বিধি দ্বারা নির্ধারিত ক্ষেত্রে ও পদ্ধতিতে যে কোন সমবায় সমিতির কার্যক্রম পরিদর্শন করিতে পারিবেন৷
(৩) এই ধারার অধীন যে কোন পরিদর্শন প্রতিবেদনের কপি উক্ত সমিতি এবং নিবন্ধককেও প্রদান করিতে হইবে৷
(ক) কোন সমবায় সমিতি যদি কোন অর্থ সরবরাহকারী সংস্থার সদস্য হয় বা উক্ত সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া থাকে এবং ঐ অর্থ সরবরাহকারী সংস্থা যদি উক্ত ঋণ সম্পর্কে ঋণগ্রহীতা সমিতির কার্যক্রম তদন্তের জন্য আবেদন করে;
(খ) ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য যদি কোন বিষয়ে তদন্তের আবেদন করেন;
(গ) সমিতির মোট সদস্যের ১০% যদি কোন বিষয়ে তদন্তের আবেদন করেন;
(ঘ) সমিতির নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়;
(ঙ) মাঠ পর্যায়ে কর্মরত নিবন্ধকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তা যদি তদন্তের সুপারিশ করিয়া সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট পেশ করেন৷
(২) উপধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত তদন্ত আদেশে নিবন্ধক-
(ক) উক্ত উপ-ধারার দফা (ঘ) এবং (ঙ) তে বর্ণিত ক্ষেত্রে সমিতির বিগত দশ বত্সরের কার্যক্রম পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন;
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রাপ্ত আবেদনে উল্লিখিত বা তত্সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
68[(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে অথবা কোন ব্যক্তি বা সমবায় সমিতির সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে সমবায় সমিতির কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, প্রয়োজনে, নিবন্ধককে ধারা ৮৪ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিতে পারিবে৷]
নবম অধ্যায়
বিরোধ নিষ্পত্তি
(ক) সমবায় সমিতি, ইহার ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য, বা সমিতির এজেন্ট বা সমিতির অবসায়ক; অথবা
(খ) সমিতির কোন সদস্য অথবা প্রাক্তন সদস্য বা মৃত সদস্যের মাধ্যমে স্বার্থ অর্জনকারী কোন ব্যক্তি; অথবা
(গ) সমিতির বর্তমান, বিগত বা মৃত সদস্যের জামিনদার, সদস্য হউক আর না হউক, অথবা সংশ্লিষ্ট সমিতির সংগে লেনদেনকারী কোন ব্যক্তি; অথবা
(ঘ) অন্য যে কোন সমবায় সমিতি অথবা ঐ সমিতির অবসায়ক; অথবা
69[(ঙ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে সংক্ষুব্ধ কোনো সদস্য এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরে নির্বাচনের ফলাফলে সংক্ষুব্ধ কোনো প্রার্থী;
(চ) কোনো সমবায় সমিতির কার্যক্রম সম্পর্কে সমিতির কোনো আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ কোন সদস্য।]
(২) উপধারা (১) এ উল্লিখিত প্রতিটি বিরোধ সালিসকারীর নিকট লিখিতভাবে নিম্নবর্ণিত সময়সীমার মধ্যে পেশ করিতে হইবে, যথা:-
(ক) নির্বাচনের ক্ষেত্রে, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ বা ঘোষণার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে;
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, উক্ত বিরোধের কারণ উদ্ভব হওয়ার পরবর্তী 70[১৮০ (একশত আশি) দিনের] মধ্যে৷
(৩) উপধারা (১) এ উল্লিখিত বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে নিবন্ধক, বিধি সাপেক্ষে, লিখিত আদেশ দ্বারা উপ-সহকারী নিবন্ধক বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাকে সালিসকারী হিসাবে নিয়োগ করিবেন৷
(৪) এই ধারার অধীন সালিসকারী প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উহা প্রদানের ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ পক্ষ 71[***] নির্ধারিত আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(৫) এই ধারার অধীন সকল বিরোধ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করিতে হইবে৷
(ক) ধারা ৫০(৪) এর অধীনে নিষ্পত্তিকৃত আপীলে কোন আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকিলে এবং আপীল কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত সিদ্ধান্তে উক্ত আইনগত প্রশ্নে সুষ্পষ্ট ভুল থাকিলে এবং সেই কারণে ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হইয়াছে বলিয়া উক্ত আপীলের কোন পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদত্ত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদন করিলে;
(খ) ধারা ৫০ তে উল্লিখিত কোন বিরোধ বা আপীলে কোন জটিল আইনগত প্রশ্ন জড়িত থাকার কারণে সালিসকারী বা আপীল কর্তৃপক্ষ উক্ত বিরোধ বা ক্ষেত্রমত আইনগত প্রশ্নটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিয়া জেলাজজের নিকট প্রেরণ করিলে৷
(২) উপধারা (১) এর অধীনে জেলা জজের নিকট কোন আবেদন দায়ের করা হইলে বা সালিসকারী বা আপীল কর্তৃপক্ষ কোন বিরোধ বা আপীল প্রেরণ করিলে এবং জেলা জজ উক্ত বিষয়ে আইনগত প্রশ্ন জড়িত আছে কি না তত্সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে সন্তু(৩) উপধারা (১)(খ) এর অধীনে সালিসকারী বা আপীল কর্তৃপক্ষ পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বর্ণনা ও সুনির্দিষ্ট আইনগত প্রশ্নটি উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট নথি সহ জেলাজজের নিকট পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করিতে পারিবেন৷ ষ্ট হইলে বিষয়টি শুনানীর জন্য গ্রহণ করিবেন৷ অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত আবেদন বা আইনগত প্রশ্নে উপধারা (১)(খ) এর অধীনে প্রেরিত বিষয় সরাসরি নাকচ করিবেন৷
(৩) উপধারা (১)(খ) এর অধীনে সালিসকারী বা আপীল কর্তৃপক্ষ পত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বর্ণনা ও সুনির্দিষ্ট আইনগত প্রশ্নটি উল্লেখপূর্বক সংশ্লিষ্ট নথি সহ জেলাজজের নিকট পত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করিতে পারিবেন৷
(৪) এই ধারার অধীনে উত্থাপিত আইনগত প্রশ্নটি জেলাজজ শুনানীর জন্য গ্রহণ করিলে তিনি উহা স্বয়ং নিষ্পত্তির জন্য তাহার অধীনস্থ কোন অতিরিক্ত জেলাজজ বা সাব-জজের নিকট প্রেরণ করিতে বা উহা প্রত্যাহার করিয়া অনুরূপ অপর কোন বিচারকের নিকট প্রেরণ করিতে বা স্বয়ং নিষ্পত্তি করিতে পারিবেন৷
(৫) এই ধারার অধীন পেশকৃত আবেদন বা প্রেরিত বিরোধ বা আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জেলাজজ, বা ক্ষেত্রমত অতিরিক্ত জেলাজজ বা সাব-জজ-
(ক) শুধুমাত্র আইনগত প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন না, ঘটনাগত প্রশ্নেও সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন, তবে আইনগত সিদ্ধান্ত প্রদানের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট ঘটনাবলী বিবেচনা করিতে পারিবেন;
(খ) সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে ব্যক্তিগতভাবে বা উপযুক্ত প্রতিনিধি বা কোন কৌশলীর মাধ্যমে তাহাদের বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দান করিবেন এবং উত্থাপিত আইনগত প্রশ্নে কোন পক্ষ নির্ধারিত তারিখে তাহাদের বক্তব্য উপস্থাপন না করিলেও নথিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাহার রায় প্রদান করিতে পারিবেন;
(গ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন এবং কোন বিষয়ে বিধি না থাকিলে তাহার বিবেচনামত যথাযথ যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করিতে পারিবেন৷
(৬) এই ধারার অধীনে জেলাজজ, বা ক্ষেত্রমত, অতিরিক্ত জেলাজজ বা সাব-জজ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল চলিবে না বা উহা পুনরীক্ষণের জন্য আবেদন করা যাইবে না৷
(৭) উপধারা (১) উল্লিকিত বিষয় বা এই আইনে সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত এমন কোন বিষয় ব্যতীত জেলাজজের নিকট বা অন্য দেওয়ানী আদালতে এই আইনের অধীনে গৃহীত কোন কার্যক্রমের বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না, এবং বিশেষতঃ নিম্নবর্ণিত বিষয়ে উক্ত আদালতের কোন এখ্তিয়ার থাকিবে না:-
(ক) কোন সমবায় সমিতি নিবন্ধন অথবা উহার উপ-আইন প্রণয়ন বা সংশোধন এর ব্যাপারে নিবন্ধক কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বা প্রদত্ত সিদ্ধান্ত;
(খ) কোন ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল এবং উহার বাতিলের প্রেক্ষিতে সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যক্রম;
(গ) ধারা ৫০ অনুযায়ী সালিসকারীর নিকট প্রেরণযোগ্য কোন বিরোধ;
(ঘ) কোন সমবায় সমিতির অবসায়ন বা উহার নিবন্ধন বাতিলের ব্যাপারে নিবন্ধকের সিদ্ধান্ত বা কার্যক্রম৷
(৮) কোন সমবায় সমিতি অবসায়ন কার্যক্রম চলাকালে সমিতির ব্যবসা সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে এই আইন বা অন্য কোন আইনের অধীনে কোন মামলা বা আইনগত কার্যক্রম কিংবা অবসায়কের বিরুদ্ধে অথবা সমিতি কিংবা উহার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অন্য কোনরূপ আইনগত কার্যক্রম শুরু বা দায়ের করিতে হইলে নিবন্ধকের পূর্বানুমতির প্রয়োজন হইবে এবং এইরূপ অনুমতি ব্যতীত কোন আদালত উক্তরূপ কোন মামলা গ্রহণ করিবে না৷
দশম অধ্যায়
সমবায় সমিতিসমূহের অবসায়ন ও বিলুপ্তি
(ক) ধারা ৪৩ এর অধীন সম্পাদিত নিরীক্ষা বা ধারা ৪৯ এর অধীন অনুষ্ঠিত তদন্তের ভিত্তিতে, তিনি মনে করেন যে, উক্ত সমিতির অবসায়ন প্রয়োজন;
(খ) এতদুদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের সিদ্ধান্ত অনুসারে আবেদন করা হয়;
72[(গ) উক্ত সমিতির পর পর দুটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত না হয় বা পর পর দুটি সাধারণ সভায় কোরাম না হয়;]
(ঘ) উক্ত সমিতি নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহার কার্যক্রম শুরু করা না হয়;
(ঙ) উক্ত সমিতির কার্যক্রম বিগত ১ (এক) বত্সর যাবত্ বন্ধ থাকে;
73[(চ) সমিতির পরিশেধিত শেয়ার মূলধন বা সঞ্চয় আমানত নির্ধারিত পরিমাণের কম হইয়া যায়;]
(ছ) এই আইন বা বিধিমালা বা উপ-আইনে উল্লিখিত নিবন্ধন সংক্রান্ত কোন শর্ত ভংগ করা হয়;
তবে শর্ত থাকে যে, দফা (ঙ) এবং (চ) এর ক্ষেত্রে নিবন্ধক যথাযথ মনে করিলে অবসায়ক নিয়োগ না করিয়া 74[সমিতিকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদানপূর্বক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন] ৷
(২) উপধারা (১) এর অধীনে অবসায়ক নিয়োগ হইলে ব্যবস্থাপনা কমিটি আর কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে না৷
75[(১ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সমবায় সমিতির দায়-দেনা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া না গেলে উহা কোন কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতির সদস্য হইলে, অবসায়ক সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতি হইতে উহার সম্পদ ও দায়-দেনা এর তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন।]
(২) বিধি সাপেক্ষে, অবসায়ক নিম্নবর্ণিত যে কোন কার্য করিতে এবং প্রয়োজনীয় আদেশ নির্দেশ দিতে পারিবেন:-
(ক) সমিতির পক্ষে বা বিপক্ষে মামলা দায়ের ও পরিচালনা এবং অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
(খ) অন্য কোন ব্যক্তি বা সমিতির সহিত বিদ্যমান বিরোধ আপোষ কিংবা মীমাংসার ব্যবস্থা করা;
(গ) সমিতির বর্তমান, অতীত, কিংবা মনোনীত ব্যক্তি, উত্তরাধিকারী অথবা বৈধ প্রতিনিধির নিকট সমিতির পাওনা নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যবস্থা করা;
(ঘ) অবসায়নের ব্যয় নির্ধারণ করা এবং সমিতির পরিসম্পদ পর্যাপ্ত না হইলে উক্ত ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে সদস্যদের দায় দায়িত্ব নির্ধারণ করা;
(ঙ) সদস্য, সাবেক সদস্য অথবা মৃত সদস্যদের এস্টেটসমূহ, মনোনীত ব্যক্তিবর্গ, উত্তরাধিকারী এবং আইনানুগ প্রতিনিধি কর্তৃক দফা (গ) ও (ঘ) তে বর্ণিত দাবীসমূহসহ, সময়ে সময়ে তাহাদের প্রদেয় চাঁদা নির্ণয় করা;
(চ) সমিতির বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবী তদন্ত করা এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে দাবীদারদের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা;
(ছ) সমিতির বিরুদ্ধে উত্থাপিত দাবীসমূহ অবসায়নের আদেশের তারিখ পর্যন্ত সুদ সমেত যতদূর সম্ভব পরিশোধ করা;
(জ) সমিতির সম্পদ আদায়, সংগ্রহ ও বণ্টন সম্পর্কে বিবেচনামত প্রয়োনজীয় নির্দেশদান করা; 76[***]
(ঝ) সমিতির দেনা পরিশোধ হওয়ার পর উদ্বৃত্ত, যদি থাকে, সদস্যদের সম্মতি অনুসারে তাহাদের মধ্যে বণ্টন বা অন্যভাবে নিষ্পত্তি করা77[;
(ঞ) সমবায় সমিতির দখলে থাকা কোন সম্পদ অথবা সম্পত্তি, নিবন্ধকের অনুমোদনক্রমে, বিক্রয় করিতে পারিবেন;
(ট) সমিতির সংশ্লিষ্ট ঋণ বিতরণকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি অথবা জাতীয় সমবায় সমিতিতে উক্ত সমিতির জমাকৃত শেয়ার, সঞ্চয়, বন্ধকী সম্পত্তি বা অন্য কোন আমানত হইতে পাওনা ঋণ সমন্বয় করার পরও যদি ঋণ পাওনা থাকে সেক্ষেত্রে অবসায়ক উক্ত ঋণ আদায়পূর্বক সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় অথবা জাতীয় সমবায় সমিতিকে পরিশোধ করিবেন;
(ঠ) ঋণ আদায় না হইলে অনাদায়ী ঋণকে কুঋণ হিসাবে চিহ্নিত করিয়া উহা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি অথবা জাতীয় সমবায় সমিতির কুঋণ তহবিলের সাথে সমন্বয় করিতে হইবে এবং এইরূপ সমন্বয়ের পরও ঋণ পাওনা থাকিলে অবসায়ক পাওনা ঋণের তালিকা চূড়ান্ত করিবে;
(ড) অবসায়ক কর্তৃক পাওনা ঋণের চূড়ান্ত তালিকা পাওয়ার পর নিবন্ধক পাওনা ঋণের তালিকা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি অথবা জাতীয় সমবায় সমিতিকে ঋণ আদায়ের নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত আদেশ পালন ব্যতীত সংশ্লিষ্ট সমিতির অন্যান্য কার্যাদি বন্ধ থাকিবে এবং এই ক্ষেত্রে নিবন্ধক পাওনা ঋণের চূড়ান্ত তালিকা মোতাবেক সমুদয় ঋণ আদায়ের পর সমবায় সমিতির বিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন;
(ঢ) কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি ও জাতীয় সমবায় সমিতির কোন সদস্য সমবায় সমিতি অবসায়নে ন্যস্ত হইলে সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতির সকল পাওনা অবসায়কের নিকট প্রদান করার জন্য কেন্দ্রীয সমবায় সমিতি ও জাতীয় সমবায় সমিতির দায়িত্বে নিয়োজিত সচিব এবং সভাপতি বাধ্য থাকিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে যে কোন অসহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবসায়কের সুপারিশের প্রেক্ষিতে নিবন্ধক মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারিবেন, তবে অবসায়কের যে কোন ধরনের অসহযোগিতা সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হিসেবে গণ্য করা হইবে;
(ণ) অবসায়নে ন্যস্ত সমবায় সমিতির সদস্যদের দায় এর তালিকা অবসায়ক চূড়ান্ত করার পর নিবন্ধক উহা অনুমোদন করিবেন এবং উক্ত তালিকা মোতাবেক ঋণ আদায়ে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতি বাধ্য থাকিবে, তবে নিবন্ধক এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বা জাতীয় সমিতিকে ঋণ আদায় করার নির্দেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত আদেশ পালন ব্যতীত সমিতির অন্যান্য কার্যাদি বন্ধ থাকিবে এবং এই ক্ষেত্রে ৬ (ছয়) বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সমিতির নিবন্ধন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হইয়া যাইবে;
(ত) অবসায়ন কার্যে কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি বা জাতীয় সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি কিংবা নির্বাহী কর্তৃপক্ষ অবসায়ককে অসহযোগিতা করিলে, নিবন্ধক ধারা ৮৪ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটি কিংবা নির্বাহী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারিবে।]
(৩) সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য, সমিতির সদস্য এবং সকল কর্মচারী অবসায়কের দায়িত্ব পালনে তাহাকে সকল প্রকার সহযোগিতা দিতে বাধ্য থাকিবেন৷
79[(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল হইলেও বাতিলকৃত সমবায় সমিতির সদস্যের নিকট সরকারি পাওনা থাকিলে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্তৃপক্ষ অবসায়কের প্রতিবেদন মোতাবেক সরকারি পাওনা হিসাবে আদায় করিতে পারিবে।]
80একাদশ অধ্যায়
[সমাবয় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক] এবং জাতীয় সমবায় সমিতির জন্য বিশেষ বিধানাবলী
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে উক্ত ব্যাংক উক্ত সদস্যের পাওনাদারের নিকট এই মর্মে নোটিশ ইস্যু করিতে পারিবে যে, তিনি যেন উক্ত ঋণ বাবদ নোটিশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উহাতে উল্লিখিত অর্থ গ্রহণ করেন;
উক্ত ব্যাংক কর্তৃক এইরূপে নোটিশ জারী বা উহাতে প্রদত্ত নির্দেশের ক্ষেত্রে Transfer of Property Act, 1882 (Act IV of 1882) এর ধারা ৮৩ বা ৮৪ এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
(৩) যে ব্যক্তির উপর অনুরূপ নোটিশ জারী করা হইবে তিনি উক্ত ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করিতে বাধ্য থাকিবেন; কিন্তু যেই ক্ষেত্রে বন্ধকদাতা এবং অনুরূপ ব্যক্তির মধ্যে ঋণের পরিমাণ সম্পর্কে মতভেদ সৃষ্টি হয় কিংবা যেই ক্ষেত্রে উক্ত সদস্যের পাওনা অপেক্ষা কম অর্থ পরিশোধের প্রস্তাব করে, সেই ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত অর্থ গ্রহণ সত্ত্বেও ঐ ব্যক্তি তাহার দাবীকৃত বকেয়া আদায় করিবার জন্য অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
(৪) যদি কোন পাওনাদার অনুরূপ নোটিশ অনুযায়ী অর্থ গ্রহণে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে নোটিশ জারীর পরবর্তী নোটিশে উল্লিখিত অর্থ বাবদ 83[মুনাফা] প্রদেয় হইবে না৷
(ক) তাহার বন্ধকী দেনা পরিশোধের জন্য বন্ধকী সম্পত্তি বা শেয়ার অন্যত্র হস্তান্তর বা বন্ধক রাখিতে পারিবেন না; বা
(খ) বন্ধকী সম্পত্তি বা ব্যাংকে তাহার শেয়ারকে পরবর্তী পাঁচ বত্সরের মধ্যে চার্জযুক্ত করিতে পারিবেন না৷
85[(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক অনুমতি দিতে ইচ্ছুক হইলে উক্ত ব্যাংক যে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সদস্য উহার অনুমতি বা যে অর্থ সরবরাহকারী সংস্থার নিকট প্রথমোক্ত ব্যাংকের দেনা আছে উহার পূর্বানুমতি গ্রহণ করিবে।]
(ক) বন্ধক দাতা;
(খ) এমন কোন ব্যক্তি যাহার বন্ধকী সম্পত্তিতে স্বার্থ আছে অথবা উহাতে কোন দাবী আছে অথবা উক্ত সম্পত্তি উদ্ধারের ব্যাপারে স্বত্ব আছে এবং যিনি উক্ত ব্যাংক অথবা সমিতিকে অনুরূপ স্বার্থ অথবা দাবী সম্পর্কে পূর্বে লিখিতভাবে অবহিত করিয়াছেন;
(গ) উক্ত অর্থ অথবা উহার অংশ বিশেষ প্রদানের জন্য কোন জামিনদার; এবং
(ঘ) বন্ধকদাতার কোন পাওনাদার, যিনি বন্ধকী সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য একটি ডিক্রী লাভ করিয়াছেন৷
(২) ধারা ৬৩ এর অধীনে নিযুক্ত হওয়ার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে বিক্রয় কর্মকর্তা বিক্রয় কার্য শেষ করিবেন, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বা সমিতির বা উক্ত কর্মকর্তার আবেদনক্রমে নিবন্ধক অবস্থা বিশেষে উক্ত মেয়াদ আরো নব্বই দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন৷
(ক) দফা (খ), (গ) এবং (ঘ) তে উল্লিখিত অর্থ জমা প্রদানের এবং উক্ত সম্পত্তির বিক্রয় বাতিল আবেদনের সময়সীমা;
(খ) সম্পত্তির বিক্রয়মূল্য;
(গ) ব্যাংক অথবা সমিতি কর্তৃক বিক্রয় ঘোষণায় বিনির্দিষ্ট অর্থসহ সম্পত্তিটির বিক্রয় কার্যের জন্য উক্ত ব্যাংক বা সমিতি কর্তৃক ব্যয়িত খরচ, যদি হয় এবং তদ্বাবদ প্রাপ্র 90[মুনাফা];
(ঘ) উক্ত বিক্রয় মূল্যের শতকরা পাঁচ ভাগের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ যাহা ক্রেতাকে প্রদান করা হইবে যদি ক্রেতা উক্ত বিক্রয় মূল্য জমা দিয়া থাকেন৷
(২) উপ-ধারা (১) অনুসারে নোটিশে উল্লেখিত অর্থ জমা দিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ব্যক্তি বিক্রয় বাতিলের আবেদন করিলে উক্ত বিক্রয় ৬৭ ধারা অনুসারে বাতিলযোগ্য হইবে৷
(২) নিবন্ধক উক্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর-
(ক) যে ক্ষেত্রে ৬৬ ধারার অধীনে কোন আবেদন এবং উক্ত ধারায় বিনির্দিষ্ট অর্থ আবেদনকারী কর্তৃক জমা করা হইয়াছে, সেই ক্ষেত্রে বিক্রয় বাতিল করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন এবং অবস্থা বিশেষে, উক্ত ব্যাংক অথবা সমিতিকে ৬৬ (খ) ধারার অধীনে জমাকৃত অর্থ ক্রেতাকে ফেরত দেওয়ার জন্য বিক্রয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিবেন; এবং
(খ) যেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ কোন আবেদন না করা হয় অথবা যদি আবেদন পেশ হওয়া সত্ত্বেও উক্ত ধারা অনুযায়ী বিনির্দিষ্ট অর্থ আবেদনকারী কর্তৃক জমাদান না করা হয় সেই ক্ষেত্রে বিক্রয় নিশ্চিত করিয়া একটি আদেশ প্রদান করিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক বিক্রয় নিশ্চিতকরণের আদেশ প্রদান করা হইলে বিক্রয় চূড়ান্ত হইবে৷
প্রথমতঃ অবস্থা বিশেষে বিক্রয় কর্মকর্তা, 91[সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক], কেন্দ্রীয় অথবা জাতীয় সমবায় সমিতিকে উহার প্রাপ্য যাবতীয় খরচ ও চার্জ প্রদান করিতে হইবে, যাহা উক্ত কর্মকর্তা, ব্যাংক অথবা সমিতি উক্ত বিক্রয় বা বন্ধকের সূত্রে খরচ করিয়াছে বা অন্য কোনভাবে পাওয়ার অধিকারী হইয়াছে৷
দ্বিতীয়তঃ অবশিষ্টাংশ, যদি থাকে, বন্ধকদাতাকে তাহার পাওনা সাপেক্ষে প্রদান করিতে হইবে;
তৃতীয়তঃ অতঃপর অবশিষ্ট অংশ, যদি থাকে, বিক্রিত সম্পত্তির মূল মালিককে প্রদান করিতে হইবে৷
(২) নিবন্ধক উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত সার্টিফিকেটের একটি মূল কপি যে সাব-রেজিস্ট্রার এর অধিক্ষেত্রের মধ্যে অনুরূপ সার্টিফিকেটে উল্লিখিত স্থাবর সম্পত্তির সমগ্র কিংবা অংশ বিশেষ অবস্থিত তাহার নিকট প্রেরণ করিবেন এবং Rgistration Act, 1908 (Act XVI of 1908) এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন উক্ত সাব-রেজিস্ট্রার তাহার রেজিস্টারে উক্ত কপির বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করিবেন এবং মূল কপিটি নিবন্ধকের নিকট ফেরত দিবেন৷
(ক) অবস্থা বিশেষে, 94[সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের] আবেদনের প্রেক্ষিতে বন্ধকী সম্পত্তির উত্পাদন ও আয়ের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ করিতে পারিবেন;
(খ) বন্ধকদাতার আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথ মনে করিলে উক্ত রিসিভারকে অপসারণ করিতে পারিবেন; এবং
(গ) রিসিভারের শূন্য পদ পূরণ করিতে পারিবেন৷
(২) বন্ধকী সম্পত্তি ইতোমধ্যে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত একজন রিসিভারের দখলে থাকিলে সেই ক্ষেত্রে নিবন্ধক কোন রিসিভার নিয়োগ করিবেন না৷
(২) উক্ত রিসিভারের ক্ষেত্রে Transfer of Property Act, 1882 (Act IV of 1882) এর Section 69A(8) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
ব্যাখ্যা: এই ধারার অধীনে জামানত অপর্যাপ্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে, যদি বন্ধকী সম্পত্তির বর্তমান মূল্য বকেয়ার পরিমাণ অপেক্ষা বেশী না হয়, এবং এই মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বিধি ও উপ-আইন প্রযোজ্য হইবে৷
দ্বাদশ অধ্যায়
দায়িত্বসমূহ বলবতকরণ এবং বকেয়া অর্থ আদায়
(ক) সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে এবং তাহার বিবেচনামত সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে সমনজারী করিয়া হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করিতে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন;
(খ) উক্ত ব্যক্তি জিজ্ঞাসার জবাবে তাহার জানামতে সত্য তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকিবেন;
(গ) সমিতির যে কোন হিসাব বহি, ক্যাশ ও অন্যান্য দলিল ও সম্পদ পরিদর্শন করিতে পারিবেন;
(ঘ) সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ সকল কর্মচারী প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত কোন নির্দেশ বা জারীকৃত সমন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়িত্ব পালন না করিলে বা হাজির না হইলে বা উক্ত উপ-ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তির অসহযোগিতার কারণে পরিদর্শন সম্ভব না হইলে নিবন্ধক দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী বা ক্ষেত্রমত তল্লাশী পরোয়ানা ইস্যুর জন্য ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনান্তে ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতার বা তল্লাশি পরোয়ানা ইস্যু করিতে পারিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) অধীনে প্রদত্ত ক্রোকের আদেশ দেওয়ানী আদালতের ক্রোকের আদেশের মত একইরূপ আইনগত মর্যাদা ও ফলবিশিষ্ট হইবে৷
তবে এইরূপ জরিমানা আরোপের কারণে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী ও দেওয়ানী প্রতিকার লাভের জন্যও ঋণদাতার অধিকার ক্ষুণ্ন হইবে না৷
(ক) ইচ্ছাকৃতভাবে এই আইন বা বিধি বা উপ-আইনের বিধান ভঙ্গ করিয়া কোন অর্থ প্রদান করিয়াছেন বা প্রদানের ক্ষমতা অনুমোদন করিয়াছেন;
(খ) ইচ্ছাকৃতভাবে এমন আদেশ প্রদান করিয়াছেন যাহার ফলে সমিতির কোন ক্ষতি হইয়াছে;
(গ) ইচ্ছাকৃতভাবে সমিতির কোন অর্থ হিসাব বহিতে অন্তর্ভুক্ত করেন নাই; বা
(ঘ) সমিতির অর্থ আত্মসাত্ করিয়াছেন বা প্রতারণামূলকভাবে সমিতির কোন সম্পত্তি আটকাইয়া রাখিয়াছেন;
তাহা হইলে নিবন্ধক বিষয়গুলি সুনির্দিষ্টভাবে তদন্ত করিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট সদস্য বা কর্মচারীকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে শুনানীর সুযোগ দিবেন এবং পরিস্থিতি অনুসারে যথাযথ মনে করিলে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত ত্রুটি সংশোধন বা আত্মসাত্কৃত অর্থ বা সম্পদ সমিতিকে ফেরত বা উক্ত সদস্যের আদেশ বা কর্মকাণ্ডের ফলে উদ্ভুত ক্ষতিজনিত ক্ষতিপূরণ 103[১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে] প্রদানের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালনে সংশ্লিষ্ট সদস্য বা কর্মচারী বাধ্য থাকিবেন, এবং উহা পালনে ব্যর্থতা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 104[৭ (সাত) বৎসর] কারাদণ্ড বা আত্মসাত্কৃত অর্থের বা, ক্ষেত্রমত, ক্ষতিসাধিত সম্পদের মূল্যের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
(ক) এই আইন, বিধি বা উপ-আইনে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে; বা
(খ) অনুরূপ কোন সময়ের উল্লেখ না থাকিলে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রকৃতি ও পরিধি বিবেচনাক্রমে নিবন্ধক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে,
উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানীর একটি সুযোগদান করতঃ নিবন্ধক প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন; এইরূপ নির্দেশ পালনে উক্ত কমিটি, বা ক্ষেত্রমত সদস্য বা ব্যক্তি বাধ্য থাকিবেন৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ লংঘনের জন্য জরিমানাসহ নিবন্ধক প্রতিদিনের জন্য অনধিক ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা সমিতির তহবিলে জমাদানের জন্য লংঘনকারীকে নির্দেশ দিতে পারেন; উক্ত জরিমানা দেওয়া না হইলে উহা Public Demand Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর অধীন public demand হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
(২) এই আইনের অধীনে নিয়োগকৃত কোন ব্যক্তির দ্বারা সরল বিশ্বাসে সম্পাদিত কোন কাজ শুধুমাত্র এই অজুহাতে অবৈধ হইবে না যে, পরবর্তীতে তাহার নিয়োগ বাতিল করা হইয়াছে বা এই আইনের অধীনে জারীকৃত আদেশের ফলে অকার্যকর হইয়াছে৷
(৩) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন সমিতি পরিচালনার কোন কাজ সরল বিশ্বাসে সম্পাদন করা হইয়াছে কি-না, নিবন্ধক তাহা সিদ্ধান্ত দিতে পারেন৷
(২) নিবন্ধক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
(২) কোন সমবায় সমিতির অবসায়ন সম্পন্ন হইয়া থাকিলে উক্ত সমিতির রেকর্ডপত্র অধিদপ্তরের যে কর্মকর্তার নিকট গচ্ছিত থাকে তিনি উক্ত সমিতির প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন সদস্য বা কোন প্রাক্তন কর্মচারী বা প্রাক্তন অবসায়ক কোন মামলার পক্ষ বা আসামী না হইলে তাহাকে উক্ত মামলায় উক্ত সমিতির কোন বিষয়ে কোন নথিপত্র উপস্থাপনের জন্য বা কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করা যাইবে না, তবে এতদ্বিষয়ে আদালতের সুনির্দিষ্ট আদেশ থাকিলে তাহাকে তলব করা যাইবে৷
ত্রয়োদশ অধ্যায়
বিবিধ
(২) এইরূপ বিধিতে এই মর্মে বিধান থাকিতে পারে যে, কোন ব্যক্তি উহা লংঘন করিলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ডে বা ৫০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) অর্থ দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও:-
(ক) উক্ত অধ্যাদেশের অধীনে প্রণীত বিধিমালা, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীনে প্রণীত বলিয়া গণ্য হইবে;
(খ) উক্ত অধ্যাদেশের অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন, অর্পিত ক্ষমতা, জারীকৃত নোটিশ, প্রদত্ত নিয়োগ, আদেশ নির্দেশ, গৃহীত অবসায়ন কার্যক্রম, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের প্রদত্ত, অর্পিত, জারীকৃত বা অবসায়িত বলিয়া গণ্য হইবে;
(গ) উক্ত অধ্যাদেশের অধীনে রুজুকৃত কোন বিরোধ (dispute), বা আপীল বা জেলাজজের নিকট দায়েরকৃত বা অন্য আদালতে দায়েরকৃত কোন মামলা এইরূপে অব্যাহত থাকিবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই৷
দফা (৪ক) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
দফা (৫) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (৬) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (৮) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (১০ক) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“এই আইনের ধারা ৬এ উল্লিখিত নিবন্ধক ও মহাপরিচালক” শব্দগুলি “অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(চ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (১৭ক) ও (১৭খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ছ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
দফা (২০ক), (২০খ) ও (২০গ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(জ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
দফা (২২) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২(ঝ) ধারাবলে সংযোজিত।
ধারা ৩ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“ও মহাপরিচালক” শব্দগুলি “নিবন্ধক” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
উপ-ধারা (১) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“বা সরকারি কোন কর্মকর্তাকে বা সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন সমবায় সমিতিকে” শব্দগুলি “কর্মচারীকে” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৬(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
শর্তাংশ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (ঘ), (ঙ) ও (চ) দফা (ঘ) এর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
ধারা ৯ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেন।” সংখ্যা, শব্দগুলি, বন্ধনী ও দাড়িঁ “অবিলম্বে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে জানাইয়া দিবেনঃ” শব্দগুলি ও কোলন এর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
শর্তাংশ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত।
শর্তাংশ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (১ক) ও (১খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৯(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
উপ-ধারা (২) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“অযোগ্য হইবেন” শব্দগুলি “অযোগ্য বলিয়া নিবন্ধক আদেশ দিতে পারিবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“নিবন্ধক প্রাথমিক সমবায় সমিতি ও কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির এবং সরকার জাতীয় সমবায় সমিতির” শব্দগুলি “নিবন্ধক সমবায় সমিতির” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“ব্যবস্থাপনা কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ সদস্য ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মনোনয়ন প্রদান করিবেন” শব্দগুলি “ব্যবস্থাপনা কমিটির একতৃতীয়াংশের সদস্য মনোনয়ন করিবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারাসমূহ (৪), (৫), (৬), (৭) এবং (৮) পূর্ববর্তী উপ-ধারাসমূহ (৪), (৫), (৬) এবং (৭) এর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “৯০ (নব্বই) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“তিনটি” শব্দ “দু’টি” শব্দ ও চিহ্নের পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১২(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে বিলুপ্ত
দফা (খ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“; অথবা” সেমিকোলন ও শব্দ “দাঁড়ি” এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর দফা (ঙ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৩(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
ধারা ২০ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
ধারা ২১ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“আত্নপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানীর সুযোগ প্রদান করিবেন এবং শুনানীঅন্তে সন্তুষ্ট না হইলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “বহিস্কারের উদ্দেশ্যে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“সদস্যকে নিবন্ধক পরবর্তী তিন বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হইবার অযোগ্য ঘোষণা করিতে পারিবেন” শব্দগুলি “সদস্য পরবর্তী পাঁচ বত্সরের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হইবেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে” শব্দগুলি “অধিদপ্তর প্রধান হিসাবে নিবন্ধক স্বয়ং বা সরকার প্রদান করিয়া থাকিলে সং¶ুব্ধ ব্যক্তি সিদ্ধান্—টি পুনঃবিবেচনার জন্য উক্ত সময়সীমার মধ্যে অধিদপ্তর প্রধান বা” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“ধারা ৫২” শব্দ ও সংখ্যা “ধারা ৫৪” শব্দ ও সংখ্যার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“ধারা ১৯ এর বিধান অনুযায়ী যোগ্য কোন সদস্য বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী “যে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯০ (নব্বই) দিনের জন্য” শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (৮) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঘ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“১২০ (একশত বিশ) দিনের জন্য” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “নতুন” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৬(ঙ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
ধারা ২৩ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
ধারা ২৩ক ও ২৩খ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
উপ-ধারা (১) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে,” শব্দগুলি, চিহ্ন, বন্ধনী ও সংখ্যা সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ১৯(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
ধারা ২৬ক সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত
ধারা ২৬খ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
ধারা ২৯ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“বা নির্ধারিত অন্য কোন সমবায় ব্যাংকে” শব্দগুলি “আর্থিক প্রতিষ্ঠানে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২২(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“, সাধারণ সভার অনুমাদনক্রমে,” কমাগুলি ও শব্দগুলি “উদ্বৃত্ত থাকিলে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২২(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“নীট” শব্দটি “অর্জিত” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“বা সুদ” শব্দগুলি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৩(ক)(অ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৩(ক)(আ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (গ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯নং আইন) এর ৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
“২%” সংখ্যা ও চিহ্ন “১%”সংখ্যা ও চিহ্নের পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৩(ক)(ই) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“বা সুদ” শব্দগুলি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৩(ক)(ঈ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
“বা নির্ধারিত অন্য কোন ব্যাংকে” শব্দগুলি “তফসিলী ব্যাংকে” শব্দগুলির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৩(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“মুনাফা” শব্দটি “সুদ” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“মুনাফা” শব্দটি “সুদ” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“মুনাফা” শব্দটি “সুদ” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“বা সুদ” শব্দগুলি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে বিলুপ্ত।
“পরিশোধ” শব্দটি “নিকট” শব্দটির পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
উপ-দফা (অ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
ধারা ৪৭ সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“স্বয়ং অথবা তদ্কর্তৃক গঠিত কমিটি বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি” শব্দগুলি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯নং আইন) এর ৮ ধারাবলে সংযোজিত
উপ-ধারা (৩) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে সংযোজিত
দফা (ঙ) ও (চ) দফা (ঙ) এর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“১৮০ (একশত আশি) দিনের” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি “১ (এক) বৎসরের” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৮(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“নিবন্ধক কর্তৃক” শব্দগুলি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৮(ঘ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
দফা (গ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
দফা (চ) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমিতিকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদানপূর্বক নিবন্ধন বাতিল করিতে পারিবেন” শব্দগুলি “সমিতির নিবন্ধন সরাসরি বাতিল করিতে পারেন” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ২৯(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (১ক) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩০(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“এবং” শব্দটি সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩০(খ) ধারাবলে বিলুপ্ত।
“;” সেমিকোলন প্রান্তস্থিত “।“ দাড়ি এর পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর দফা (ঞ), (ট), (ঠ), (ড), (ঢ), (ণ) ও (ত) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩০(খ) ধারাবলে সংযোজিত।
উপ-ধারা (১) হিসাবে ধারা ৫৮ এর বিদ্যমান বিধান সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে সংখ্যায়িত।
উপ-ধারা (২) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে সংযোজিত।
“সমাবয় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমা “জমি বন্ধকী ব্যাংক, কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“কোন সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “কোন জমি বন্ধকী ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“মুনাফা” শব্দটি “সুদ” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৩(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৪(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
উপ-ধারা (২) সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৪(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমা “সমবায় জমি বন্ধকী ব্যাংক, কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমা “জমি বন্ধকী ব্যাংক, কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক, কেন্দ্রীয় সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমা “সমবায় জমি বন্ধকী ব্যাংক, কেন্দ্রীয় জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলি ও কমার পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৮(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“মুনাফা” শব্দটি “সুদ” শব্দটির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৮(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৩৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংকের” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংক” শব্দগুলি “জমি বন্ধকী ব্যাংক” শব্দগুলির পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
“১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে” সংখ্যা, শব্দগুলি ও বন্ধনী “ক্ষতিপূরণ” শব্দের পর সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৭(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
“৭ (সাত) বৎসর” সংখ্যা, শব্দগুলি ও বন্ধনী “৩ (তিন) বৎসর” সংখ্যা, শব্দগুলি ও বন্ধনীর পরিবর্তে সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ০১ নং আইন) এর ৪৭(খ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
ধারা ৮৯ক সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০০২ (২০০২ সনের ২৯ নং আইন) এর ৯ ধারাবলে সন্নিবেশিত ।
Recent Comments